নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের গণ-অভ্যুত্থানের পেছনে প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বিশেষ করে পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন ও ড. কনক সরওয়ারের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, "নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। প্রবাসীদের সংসদেও আসা উচিত, কারণ তারা দেশ ও জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।"
সোমবার রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটি চারটি মহাদেশ ও ৩০টি দেশের ৭৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রবাসী কমিটি ঘোষণা করে।
"অভ্যুত্থানের আগে খুনি হাসিনা সরকার সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করে রেখেছিল। সংবাদ প্রকাশের প্রতিটি শব্দ ও বাক্য পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হতো। কিন্তু দেশের বাইরে থাকা সাহসী সাংবাদিক ও অ্যাকটিভিস্টরা সেই রেজিমের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন।"
তিনি আরও বলেন, "বিশেষভাবে আমি ইলিয়াস ভাই, পিনাকী দাদা ও কনক সরওয়ারের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তারা শুধু সাংবাদিকতা করেননি, বরং দেশের মুক্তির জন্য প্রবাস থেকে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। আজও তারা তাদের জায়গা থেকে দেশের জন্য কথা বলছেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।"
জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশির অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে দেশের উন্নয়ন ও পুনর্গঠনে কাজে লাগানোই তাদের মূল লক্ষ্য।
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা বলেন,"একসময় আমাদের মধ্যে ধারণা ছিল, মেধাবী, শিক্ষিত এবং সৎ মানুষ রাজনীতিতে আসতে চান না। কিন্তু ‘জুলাই বিপ্লব’ সেই বিশ্বাসকে ভুল প্রমাণ করেছে। এখন আমরা দেখছি, পেশাদার ও দক্ষ ব্যক্তিরা রাজনীতিতে এগিয়ে আসছেন এবং দেশ পুনর্গঠনে অবদান রাখতে চান।"
তিনি আরও বলেন,"এই কমিটিতে আমরা পেয়েছি জ্যোতির্বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, নিউরোসার্জন, একাডেমিশিয়ান, ডেটা অ্যানালিস্ট, সমাজকর্মী, ইমাম এবং ব্যবসায়ী। সবাই একসঙ্গে কাজ করবেন একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।"
প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই ঐক্যই হতে পারে নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি, যেখানে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং দেশপ্রেম একসঙ্গে মিলিত হবে।