নিজস্ব প্রতিবেদক :
রংপুরসহ বিভাগের আট জেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আরও ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ছয়টা পর্যন্ত এই গ্রেফতার অভিযান চলে। এ নিয়ে অভিযানের শুরু থেকে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে।
গ্রেফতারের বিস্তারিত
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানিয়েছেন, নগরীর কোতোয়ালী থানা থেকে ২ জন ও তাজহাট থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন—
আশরাফুল ইলাহ ইসলাম আলিফ (কোতোয়ালী থানা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক)
ফারুক হোসেন (নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা)
হৃদয় হোসেন, মুন্না ইসলাম, মেহেদী হাসান (কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগ সদস্য)
রিমন শেখ (ছিনতাইয়ের দায়ে অভিযুক্ত)
এছাড়া, রংপুর রেঞ্জের আট জেলার মধ্যে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযানের কারণ ও প্রতিক্রিয়া
রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, হত্যা, হত্যাচেষ্টা, নাশকতা পরিকল্পনা ও অর্থায়নের অভিযোগ রয়েছে। অভিযানে ধরা পড়াদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী বলেন, "অপরাধ দমনে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি। অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
অভিযানের ফলে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে, গ্রেফতারকৃতদের নিরপেক্ষ তদন্তের আওতায় এনে আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার করা হোক।
/এমএমএইচ