রিয়াদুন্নবী রিয়াদ নিজস্ব প্রতিবেদক:
গভীর রাত। সবাই যখন ঘুমের দেশে হারিয়ে যেতে ব্যস্ত, তখনই আচমকা শুরু হয় প্রকৃতির নির্মম আঘাত—প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়। শনিবার রাত ১১টার দিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়, শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া আর মুষলধারে বৃষ্টি। মুহূর্তেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুরো এলাকা, আর অন্ধকারে নেমে আসে বিভীষিকাময় এক রাত।
বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরই শুরু হয় মানুষের দুর্ভোগের আসল চিত্র। গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা নারী-পুরুষ, শিশুর কান্না, আর বৃদ্ধদের অস্বস্তিতে ছটফট করা—সব মিলিয়ে যেন যুদ্ধক্ষেত্রের চিত্র। পানির সংকট, খাবারের নষ্ট হওয়া, মোবাইল নেটওয়ার্কে বিঘ্ন—সব মিলিয়ে জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।
ঝড়ের কারণে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়া ও তার ছিঁড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বিদ্যুৎ বিভাগের গঙ্গাচড়া অঞ্চলের ডিজিএম আইয়ুব আলী বলেন,”ঝড়ে আমাদের অন্তত বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে এবং কয়েক কিলোমিটার তার ছিঁড়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের টিম উদ্ধার ও মেরামতের কাজ শুরু করেছে। জনভোগান্তি কমাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ চলছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা যাবে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় কিছুটা সময় লাগবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন,ঝড়ে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাদের সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।” এদিকে, স্থানীয়রা দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করার দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে পরবর্তী দুর্যোগের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখার আহ্বানও জানান তারা।আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তায় জানানো হয়েছে, আরও কয়েকদিন বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। তাই সকলকে সতর্ক ও সচেতন থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।